ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট 2025
আজকে
বলবো কিভাবে আপনি ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট 2025 নতুন অ্যাপ দিয়ে সহজে
অনলাইনে আয় করা যায়। সে জন্য আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে
হবে।
আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়েই ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজেই। কোন ঝামেলা
ছাড়ায় বিশ্বস্ত ও নিরাপদ অ্যাপ থেকে সরাসরি বিকাশে টাকা তুলুন নিমিষেই। তাহলে
চলুন ২০২৫ সালের সেরা নতুন ইনকাম অ্যাপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট 2025
- ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট 2025
- Insta Job থেকে টাকা আয় বিকাশ পেমেন্ট
- CapCut থেকে টাকা আয় বিকাশ পেমেন্ট
- SELF অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করুন
- খুব সহজে Chrome অ্যাপ থেকে ইনকাম
- কিভাবে সঠিক অ্যাপ বাছাই করবেন দেখুন
- বিকাশে পেমেন্ট সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি কেন?
- অ্যাপ থেকে কত টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব?
- বাংলাদেশি সাইটে ড্রপ শিপিং করার উপায়
- পরিশেষেঃ ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট 2025
ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট 2025
ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট 2025 সালে যেভাবে আয় করবেন তা নিয়ে আজকে বলবো।
বন্ধুগণ আপনারা কি জানেন ২০২৫ সালে টাকা ইনকাম করা সহজ থেকে সহজতর হয়ে গেছে।
আপনার হাতের মোবাইল দিয়েই এটা সম্ভব। ভাবছেন আমার তো ল্যাপটপ নাই কোনো চিন্তা
নাই। আপনিও ২০২৫ সালে ফ্রি তে আয় ইনকাম করতে পারবেন। এখন ছোট কাজের মাধ্যমে সহজেই
অর্থ উপার্জন করতে পারছে মানুষজন। বিশেষ করে বিকাশে সরাসরি পেমেন্ট পাওয়ার সুবিধা
থাকায় খুব দ্রুত এবং নিরাপদে তাদের আয় ইনকাম সরাসরি পকেটে নিতে পারছে।
অনেকে চায় ফ্রি টাকা ইনকাম করতে কিন্তু বুজতে পারেন না কিভাবে করবেন। কোন অ্যাপ
ভালো ট্রাস্টেড কিনা বুজতে পারেন না। তাদেরকে জানাতে চলেছি সঠিক অ্যাপের
অনুসন্ধান। আরেকটা কথা অনেকে মনে করেন অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করা সম্ভব না।
কিন্তু ভাই আপনি ২০২৫ সালেই অ্যাপ থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন সেটা নিয়েই আমি
বিস্তারিত বলবো আপনাকে। এই আর্টিকেল টি পড়ার পর আশা করি আপনি কাজ শুরু করে দিয়ে
২০২৫ সালে ফ্রিতে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
এখন আপনি ভাবতেছেন আমার মোবাইল দিয়ে কিভাবে উপার্জন করবো? আপনার উত্তর হলো আপনি
তো গেম পছন্দ করেন তাইনা তাহলে সেই গেম খেলেই ইনকাম করবেন। মোবাইল হাতে পেলেই
হইছে ভিডিও স্ক্রল করে করে শেষ হইনা এতো ভিডিও দেখতেছেন কিন্তু ইনকাম তো হচ্ছে না
কিন্তু ভিডিও দেখেও ইনকাম করতে পারবেন কি অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ ভাই এটায় সঠিক ২০২৫
সালে আপনি ভিডিও দেখেও ইনকাম করবেন। সার্ভে পূরণ এবং রেফারেল বোনাসের মাধ্যমে
দিনে মাত্র কয়েক মিনিট ব্যয় করেও আয় ইনকাম সম্ভব।
আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে কারণ ২০২৫ সালে যত ইনকাম সহজ তত ফাঁদে পড়াও সহজ বুজতে
পারছেন। বিশেষ করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সময় আপনাকে সবসময় সতর্ক থাকা খুবই
জরুরি। কারণ হলো সব অ্যাপই বিশ্বাসযোগ্য নয়। কিছু অ্যাপ দেখে রিয়াল মনে হলেও ভুয়া
বা স্ক্যামও হতে পারে। তাই আপনি যদি অনলাইন থেকে ফ্রি তে টাকা ইনকাম করতে চান
তাহলে আপনার উচিত কেবল সেই অ্যাপগুলো বাছাই করা যা বিশ্বস্ত এবং অন্যদের পজিটিভ
রিভিউ থাকবে। এগুলা দেখে নিবেন যাতে কোনো ঝুঁকি বা অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়।
জানেন কি ২০২৫ সালে নতুন নতুন এমনও অ্যাপ বাজারে আসছে যেগুলা সরাসরি আপনার
মোবাইলের বিকাশে টাকা চলে আসবে। খুশি হয়েছেন তাইতো এর ফলে ইনকাম করার প্রক্রিয়া
আরও ঝামেলামুক্ত এবং ব্যবহারকারীদের জন্য আরও সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে। আপনি সব
ইনফরমেশন জানতে পারবেন যদি স্টেপ বাই স্টেপ আমার ব্লগটি পড়েন। আমি সহজ ভাবে বলার
চেষ্টা করবো যাতে আপনারা সহজেই বুজতে পারেন তাহলে পরবর্তী আলোচনায় যাওয়া
যাক।
Insta Job থেকে টাকা আয় বিকাশ পেমেন্ট
Insta Job অ্যাপ এর মাধ্যমে ফ্রি তে ২০২৫
সালে ইনকাম করুন। এই অ্যাপ থেকে ইনকাম করতে পারবেন জব করার মাধ্যমে। আমরা যারা
বেকার আছি কাজ পাচ্ছিনা তাদের জন্য অনেক উপকারী একটা অ্যাপ। কিভাবে আপনি এই অ্যাপ
এ কাজ করবেন? শুরুতে প্লে স্টোর থেকে ইনস্টা জব অ্যাপটি ইন্সটল করে নিন। লগ ইন
এবং সাইন আপ অপশন থাকবে যেহেতু আপনার অ্যাকাউন্ট খোলা তাই সেহেতু সাইন আপ করতে
হবে। সাইন আপ এ ক্লিক করার পর নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ৮ সংখ্যার পাসওয়ার্ড দিয়ে
নেক্সট বাটুনে ক্লিক করুন।
এর পরে যেই নাম্বার দিয়েছেন ওই নাম্বারে একটি OTP যাবে। তারপর অটিপি কোড দিলে আপনার আকাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে। এরপর সেটিংস থেকে আপনার মন মতো প্রোফাইল সেট করুন। আপনার NID ভেরিফিকেশন করা হতে পারে। তারপরে আপনার পড়াশুনা কোন কোন বিষয়ে আপনি দক্ষ সেগুলা লিখে দিবেন এবং আপনার কোনো অভিজ্ঞতা আছে কিনা সেগুলা তুলে ধরতে হবে। যাতে আপনার প্রোফাইল দেখে আপনার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে। এরপর আপনি যেই ধরনের কাজ করতে ইচ্ছুক সেই কাজ গুলোতে আবেদন পাঠাবেন এবং কাজ পেয়ে যাবেন।
CapCut থেকে টাকা আয় বিকাশ পেমেন্ট
CapCut অ্যাপের মাধ্যমে ইনকাম করে বিকাশে
পেমেন্ট নিতে পারবেন। জি ভাই আপনি এই অ্যাপ এর মাধ্যমে ফ্রি টাকা ইনকাম করে
বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন খুব সহজেই। এই অ্যাপ থেকে দুই রকম উপায়ে ইনকাম করতে
পারবেন। এর মধ্যে একটি বলবো যেইটা বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন। যেভাবে আপনি
বিকাশে পেমেন্ট পাবেন তা হলো মানুষের ভিডিও এডিট করে দিয়ে। প্রথমে আপনাকে ভিডিও
ইডিটিং জানতে হবে। তাহলেই আপনি এডিট করে দিয়ে তার বিনিময়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন
বিকাশ পেমেন্ট এর মাধ্যমে।
আপনি যেভাবে সেটআপ করবেন প্রথম CapCut অ্যাপ সেটআপ করতে হলে আপনার ফোনের
প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে হবে। এরপর
অ্যাপটি খুললে ভাষা সিলেক্ট করা এবং স্টোরেজ, ক্যামেরা ও মাইক্রোফোনের পারমিশন
দিতে হবে যাতে ভিডিও ইম্পোর্ট ও এক্সপোর্ট সহজে করতে পারেন। বেশি ফিচার ও
সুবিধা পাওয়ার জন্য গুগল, ফেসবুক, টিকটক বা ইমেইল দিয়ে লগইন বা সাইন আপ করলে
ভালো হয়। লগইন শেষে প্রোফাইল সেটআপ করে নাম ও ছবি যোগ করা যায় এরপর সম্পূর্ণ
প্রস্তুত হয়ে যাবে।
SELF অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করুন
সেলফ থেকে ২০২৫ সালে টাকা আয় করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। এই অ্যাপে ৪টি পদ্ধতিতে আয়
করা যায়। যেমন স্পেশাল বিজনেস প্যাকেজ নেওয়ার মাধ্যমে, সেল্ফ প্রফেশনাল
আর্নিং কোর্স(New) নেওয়ার মাধ্যমে, সেলফ প্রফেশনাল আর্নিং কোর্স(Old) নেওয়ার
মাধ্যমে, বিজনেস সাবস্ক্রিপশন নেওয়ার মাধ্যমে। এখান থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে
পারবেন। অর্থাৎ সেলফ অ্যাপ এক ধরনের অনলাইন ব্যাবসা ও রিসেলিং সিস্টেম। আপনি
কিভাবে আয় করবেন তার উপায় গুলো আমি নিচে সহজভাবে ব্যাক্ষা করতেছি।
- Self অ্যাপে বিভিন্ন প্রোডাক্ট সার্ভিস পাওয়া যায়। আপনি এসব পণ্য নিজের কাস্টমারকে বিক্রি করতে পারবেন। কাস্টমার আপনার কাছ থেকে কিনলে আপনি কমিশন পাবেন।
- চাইলে Self দোকান খুলে তাদের সার্ভিস দিতে পারবেন। যেমনঃ মোবাইল রিচার্জ, ইউটিলিটি বিল, টিকেট বুকিং ইত্যাদি। প্রতিটি লেনদেন থেকে নির্দিষ্ট কমিশন আসবে।
- Self অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল রিচার্জ, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, ইন্টারনেট বিল, টিকেট, হোটেল বুকিং ইত্যাদি সেবা দেওয়া যায়। গ্রাহক এসব সেবা নিলে আপনি কমিশন পাবেন।
- বড় প্যাকেজ কিনে ডিলার হলে আপনার অধীনে রিসেলার তৈরি করতে পারবেন। তারা ব্যবসা করলে সেখান থেকেও আপনি কমিশন ইনকাম করবেন বুজতে পেরেছেন।
- নতুন ইউজার বা রিসেলার রেফার করলে বোনাস বা ইনসেনটিভ পাওয়া যায়। তবে আপনার উচিৎ হবে ভালভাবে শর্ত পড়ে নেওয়া কারণ অনেক সময় এগুলো MLM মডেল হয়ে যায়।
চলুন দেখে নি আপনি কিভাবে SELF অ্যাপ সেট আপ করবেন আপনার মোবাইলে গুগল প্লে
স্টোর বা অ্যাপ স্টোর এ গিয়ে লিখুন Self – My Business Platform। এরপর
অ্যাপটা ইনস্টল করুন। ইনস্টল শেষ হলে সেলফ অ্যাপ ওপেন করলে সাইনআপ অপশন আসবে।
Sign Up বাটনে ক্লিক করুন। এখানে আপনাকে কিছু ইনফরমেশন দিতে হবে যেমন মোবাইল
নাম্বার নাম ইমেইল যদি চাই একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড যেই নাম্বার দিয়েছেন
সেই নাম্বারে একটি OTP যাবে। সেটা দিয়ে ভেরিফাই করতে হবে। এরপর আপনার ঠিকানা,
ছবি, প্রয়োজনীয় তথ্য আপলোড করতে হবে।
খুব সহজে Chrome অ্যাপ থেকে ইনকাম
খুব সহজে Chrome অ্যাপ থেকে ইনকাম করুন। আমি চেষ্টা করতেছি আপনাদের রিয়াল
আইডিয়া দিতে যাতে আপনারা সত্যি সত্যি অনলাইন থেকে মোবাইল দিয়েই ইনকাম করতে
পারেন। ক্রোম অ্যাপ চালান না এরকম মানুষ কম ই আছেন। প্রত্যেকটা মোবাইলে আশা করি
এই অ্যাপটি রয়েছে। আপনি কি জানেন এই একটি মাত্র অ্যাপ আপনাকে হাজারো রকম আয়
করার দরজা খুলে দিতে পারে কখনো ভেবে দেখছেন? ক্রোমের মধ্যে যেয়ে সার্চ করেন
ইনকাম অ্যাপ কোনটা? কিন্তু ইনকাম অ্যাপ অলরেডি আপনার কাছেই।
আপনি ক্রোম থেকে Adobe Stock মার্কেটপ্লেস কাজ করে ফ্রি তে টাকা ইনকাম করতে
পারবেন যেখানে আপনি নিজের ফটো, ভিডিও, ভেক্টর, ইলাস্ট্রেশন ইত্যাদি আপলোড করে
বিক্রি করতে পারেন। যদি নিজে গ্রাফিক্স ডিজাইনে পারদর্শী না হয়ে থাকেন তাহলে
AI এর মাধ্যমেও ভেক্টর রাসটার ফাইল বানাইতে পারেন। সেই ফাইল গুলো যখন
কেও ডাউনলোড করবে তখন আপনি কমিশন পাবেন। যত বেশি ইউনিক ও
ট্রেন্ডিং ডিজাইন বা ছবি আপলোড করবেন, তত বেশি বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক
বেশি আমি নিজেও এখানে কাজ করি।
ইনকাম PayPal, Payoneer এবং Skrill এর মাধ্যমে টাকা বিকাশে আনা যায়। তাহলে
চলুন দেখা যাক কিভাবে সাইন আপ করা যায়। প্রথমে ক্রোমে যান তারপর Adobe
Stock Contributor লিখে সার্চ করেন। সেখানে Sign In বাটনে ক্লিক করুন। যদি
আপনার আগে থেকে Adobe ID না থাকে তাহলে একটি নতুন একাউন্ট খুলুন ইমেইল ও
পাসওয়ার্ড দিয়ে। একাউন্ট খোলার পর Contributor Dashboard এ লগইন করুন। এখান
থেকে আপনি আপনার ফটো, ভেক্টর, ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। যখন কেউ ডাউনলোড
করবে, তখন আপনার ইনকাম জমা হবে।
প্রিয় দর্শক আপনি যদি চান মোবাইল দিয়ে ফ্রিলান্সিং করতে তাহলে করতে পারবেন।
সাইটে কাজ করা Chrome দিয়ে Fiverr, Upwork, Freelancer অ্যাকাউন্ট খুলে কাজ
করতে পারবেন। অনেক কাজ আছে যেগুলা আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন।
যেমন ডেটা এন্ট্রি, কনটেন্ট লেখা, ভিডিও ইডিটিং ইত্যাদি। ক্রোম অ্যাপ ব্রাউজার
দিয়ে খুব সহজে মোবাইল থেকে ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। নিয়মিত
আর্টিকেল লিখে Google AdSense থেকে আয় করতে পারবেন।মোবাইলের Chrome দিয়ে
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম।
কিভাবে সঠিক অ্যাপ বাছাই করবেন দেখুন?
ভাই বর্তমানে স্ক্যামারদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তেই আছে। তাই আপনাকে খুব সতর্কতার
সাথে ফিল্ডে থাকতে হবে। যদি ফাঁদে পড়েন তাহলে সব শেষ। আমি নিজেও ফাঁদে পড়ছিলাম।
আমাকে বলা হয়েছিলো অ্যাড দেখে ইনকাম করুন। প্রতিদিন ১০টি করে অ্যাড দেখবেন
প্রতি অ্যাড ১০ টাকা করে পাবেন। ৫০০ টাকা হলেই টাকা সরাসরি বিকাশে নিতে পারবেন।
তবে এই ইনকাম করার আগে আপনাকে ৫০০ টাকা ডিপোজিট করতে হবে।হ্যাঁ আমি তো রাজি
কারণ মাত্র ৫ দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম হবে। এভাবে অ্যাড চলতেই থাকবে আর ইনকাম হবে।
ভাবতেছিলাম আমার ৫ শত টাকা তো ৫ দিনেই উঠাতে পারতেছি বাকি যা ইনকাম হবে সব ই
লাভ। আর লোভ সামলাইতে না পেরে করলাম ৫ শত টাকা ডিপোজিট। খুব খুশি লাগতেছিল যাক
অনেক দিন পর একটি ইনকাম সাইট পেলাম। প্রথম দিনে ১০ টি অ্যাড দেখলাম বাহ! আমার
১০০ টাকা আকাউন্ট এ দেখা যাচ্ছে। আরো বিশ্বাস বেড়ে গেলো। এরপর ৩ দিনে ৩০০ টাকা
হলো লাস্ট দিন যখন ৫০০ টাকা হয়ে গেলো খুব খুশি এখন টাকা বিকাশে পেমেন্ট নিতে
পারবো। দিলাম বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার কিন্তু আজ পর্যন্ত টাকা আসলো না ৫০০
টাকা লস।
সঠিক অ্যাপ বাছাই করবেন যেভাবে
- সবসময় অফিসিয়াল Play Store থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
- APK ফাইল বা অচেনা লিংক থেকে ডাউনলোড করবেন না।
- অ্যাপটির ৪.০+ স্টার রেটিং থাকতে হবে।
- অন্তত ১০০K+ ডাউনলোড থাকা উচিত।
- রিভিউ সেকশনে ইউজাররা আসলেই টাকা পাচ্ছে কি না দেখে নিন।
- অ্যাপটি কি বিকাশ, নগদ, রকেট সাপোর্ট করে নাকি শুধু PayPal/Payoneer আছে?
- অনেক অ্যাপে ১০–২০ ডলার পর্যন্ত মিনিমাম রাখতে হয়। যেটা সহজে তুলতে পারবেন সেটাই বেছে নিন।
- ইউটিউবে বা ফেসবুক গ্রুপে সার্চ করুন অ্যাপের নাম Payment Proof
- মানুষ আসলেই টাকা তুলছে কিনা সেটা যাচাই করে নিন।
- যেসব অ্যাপ বলে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ফ্রি আয় এগুলো ভুয়া।
- ভালো অ্যাপগুলোর নিজস্ব ওয়েবসাইট কাস্টমার সাপোর্ট ইমেইল বা ফেসবুক পেজ থাকে।
- ফেক অ্যাপগুলোতে এগুলো থাকে না।
বিকাশে পেমেন্ট সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি কেন?
আমাদের বাংলাদেশে বিকাশে পেমেন্ট সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। অধিকাংশ মানুষ ই বিকাশ
ব্যাবহার করে। বিকাশ একদম সহজ স্টেপ এ যে কেও ক্যাশআউট করে টাকা পকেটে নিতে
পারবে। যাদের স্মার্ট ফোন রয়েছে তারা বিকাশের দোকানে যাবে বিকাশ অ্যাপ এ ধুকবে
বিকাশ এজেন্ট QR Code স্ক্যান করবে কতো টাকা নিতে চায় সেটা সিলেক্ট করবে
তারপর পিন নাম্বার দিবে। কাজ শেষ টাকা হাতে পেয়ে যাবেন। মাত্র কয়েক মিনিটের কাজ
খুবই সহজ। আর যাদের স্মার্টফোন নাই তারাও বাটুন ফোন দিয়েও কোড ডায়াল করেও টাকা
পকেটে নিতে পারবেন।
বিকাশ একাউন্ট খুলতে হলে প্রথমে আপনার নিজস্ব মোবাইল নম্বর জাতীয় পরিচয়পত্র
লাগবে। নিকটস্থ বিকাশ এজেন্ট বা বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়ে জাতীয়
পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আপনার তথ্য যাচাই হয়ে
গেলে বিকাশ থেকে একটি নিশ্চিতকরণ SMS আসবে এবং আপনার একাউন্ট অ্যাক্টিভ হয়ে
যাবে। এরপর আপনি *247# ডায়াল করে বা বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করে PIN সেট করে
একাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন। PIN হবে ৫ ডিজিটের আপনার কাজ শেষ আকাউন্ট
রেডি।
অ্যাপ থেকে কত টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব?
অ্যাপ থেকে কত টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব সেটা নির্ভর করে আপনি কোন অ্যাপ
এ কাজ করছেন ডেইলি কত ঘণ্টা সময় দিচ্ছেন আর সেই অ্যাপের কাজের ধরণ ও মান কেমন
তার উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ বিভিন্ন অ্যাপ থেকে বিভিন্ন রকম আয় আসবে। যেহেতু
ইনকাম প্রয়োজন প্রত্যেকটা মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহের জন্য সেহেতু একটু
পরিশ্রম করে ভালো পরিমান করাটায় বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কাজ শিখুন কাজ না শিখে
বেশি দূর আগানো সম্ভব নয়। তাহলে চলুন দেখি নি কতো টাকা আয় ইনকাম সম্ভব?
লোকাল অ্যাপ বিকাশে সরাসরি টাকা দেয়
- কাজঃ বিজ্ঞাপন দেখা, কুইজ খেলা, ছোট টাস্ক কাজ করা, সার্ভে করা ইত্যাদি
- ইনকামঃ দিনে ১০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত সম্ভব নির্ভর করবে কাজের উপর
- মাসে মোটামুটি ১০০০ – ৩০০০ টাকা তুলতে পারবেন।
আন্তর্জাতিক মানের অ্যাপ PayPal বা Payoneer পেমেন্ট সিস্টেম
- কাজঃ সার্ভে, টাস্ক, বিজ্ঞাপন, ভিডিও দেখা ইত্যাদি ছোট কাজ
- ইনকামঃ দিনে ১ থেকে ৫ ডলার সময় এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাইতে পারলে।
- মাসে প্রায় ৩ হাজার – ১২ টাকা তুলতে পারেন।
স্কিল বেসড অ্যাপ স্টক কনটেন্ট, ডিজাইন এবং ফ্রিল্যান্সিং করে
- কাজঃ ডিজাইন বিক্রি, ভেক্টর ইমেজ, রাসটার ইমেজ বা ভিডিও আপলোড এবং ফ্রিল্যান্স করে।
- ইনকামঃ একেকটা বিক্রি বা প্রজেক্টেই ০.৫থেকে ৫০ ডলার পর্যন্ত।
- মাসে ১০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা বা তারও বেশি সম্ভব যদি নিয়মিত কাজ করেন।
বাংলাদেশি সাইটে ড্রপ শিপিং করার উপায়
ড্রপ শিপিং নামটার সাথে অনেকে পরিচিত। বর্তমানে বাংলাদেশে ড্রপ শিপিং এখন
ধীরে ধীরে অনেক জনপ্রিয় হচ্ছে। আয়ের একটি উপায় বলতে
পারেন। ড্রপ শিপিং একটি অনলাইন ব্যাবসা। এখানে অফলাইন ব্যাবসার
মতো ঝামেলা পোহাইতে হয়না। সহজভাবে বললে আপনাকে কোনো পণ্য স্টক করতে হবে না
ক্রেতা আপনার অনলাইন ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার করলে আপনি সেই অর্ডার সরাসরি
সাপ্লায়ার এর কাছে পাঠিয়ে দিন। তারপর সাপ্লায়ার আপনার ক্রেতার কাছে পণ্য
পাঠিয়ে দিবে। আপনার আয় হবে ওই প্রোডাক্ট এর কমিশন।
Daraz Seller Program। এখানে আপনি সেলার অ্যাকাউন্ট খুলে নিজের প্রোডাক্ট
বিক্রি করতে পারেন।Pickaboo Partner, Ryans Computers, Startech এর মতো বড়
বড় গ্যাজেট ও ইলেকট্রনিক্স সাইটগুলো হোলসেল/রিসেলার প্রোগ্রাম দিয়ে থাকে।
এগুলো থেকে আপনি প্রোডাক্ট অর্ডার নিয়ে সরাসরি ক্রেতার কাছে পাঠাতে
পারবেন। বাংলাদেশের অনেক স্থানীয় হোলসেল সাপ্লায়ার ও ব্যবসায়ী আছেন
যারা ড্রপশিপার খোঁজেন।ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি
করে সহজেই ড্রপশিপিং করা যায়। এগুলাতে ড্রপ শিপিং করে বিকাশে পেমেন্ট নিতে
পারবেন।
পরিশেষেঃ ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট 2025
বর্তমানে অনলাইনে ইনকাম করার অনেক মাধ্যম রয়েছে। কেউ Insta Job, CapCut
বা SELF অ্যাপ ব্যবহার করে ছোট আকারে আয় করছেন আবার কেউ ড্রপ শিপিং-এর
মতো ব্যবসায়িক মডেল বেছে নিচ্ছেন। তবে যেটাই বেছে নিন না কেন সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিক অ্যাপ বা প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করা এবং
পেমেন্ট সিস্টেম নিশ্চিত হওয়া। আপনি কোন অ্যাপ বা পদ্ধতিকে সবচেয়ে সহজ
মনে করেন?কমেন্টে লিখে জানাতে ভুলবেন না। আর পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই
শেয়ার করুন যাতে অন্যরাও উপকৃত হতে পারে।

আপডেট ধারার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url