শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায় – ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক সমাধান
আপনি
হইতো শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায় খুঁজছেন? কিন্তু বুজতে পারতেছেন না
কিভাবে শ্যামলা ত্বককে ফর্সা করবেন। আজকের এই আর্টিকেল থেকে ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক
সমাধানে পান উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় ত্বক।
শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার জন্য দুধ, মধু, হলুদ ও অ্যালোভেরা দিয়ে সহজেই ত্বক
ফর্সা করার উপায় জানুন। ক্ষতিকর কেমিক্যাল ছাড়াই ঘরে বসে থেকে ত্বক ফর্সা
করুন। আজই শিখে নিন শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার কার্যকরী ঘরোয়া টিপস।
পেজ সূচিপত্রঃ শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায়
- শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায়
- যে খাবারগুলো খেলে ত্বক ফর্সা হয়?
- সারা শরীর ফর্সা করার উপায় জানুন
- ছেলেদের ত্বক ফর্সা করার উপায়
- মেয়েদের ত্বক ফর্সা করার উপায়
- কালো ত্বক ফর্সা করার উপায় জানুন
- ত্বক ফর্সা রাখার জন্য বর্জনীয় খাবার
- শ্যামলা থেকে ফর্সা হতে কতদিন লাগে?
- গরমে ত্বক ফর্সা রাখার উপায় দেখুন
- পরিশেষেঃ শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায়
শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায়
শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায় সম্পর্কে জানুন। সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক সুন্দর
সুন্দর মানুষকে দেখে বা আপনার বন্ধু বা বান্ধবীকে দেখে ভাবতেছেন আমিও যদি
ফর্সা হতে পারতাম তাদের মতো। এই সমস্যার সমাধান এই পোস্ট পড়লেই পেয়ে যাবেন।
আচ্ছা ভাবেন তো কেন আমাদের ত্বক অনেক সময় কেমন জানি ধোঁয়াটে বা শ্যামলা
দেখায়? নিশ্চয়ই ভাবছেন ভাই আমি এখন কি করবো বা কি মাখবো ত্বক ফর্সা
করতে?
আসলে এটা অনেকেরই সাধারণ সমস্যা বিশেষ করে যারা একটু কালো ছেলেমেয়ে, ছাত্রী
বা গৃহিণীদের জন্য। এই উদ্দীপনা কিশোর বা কিশোরীর মধ্যে বেশি দেখা যায়। তারা
মানতেই চায়না যে আমি নাকি কালো বা শ্যামলা না এটা হতে পারে না ফর্সা হওয়ায়
লাগবে। অতএব সবার কথা ভেবে আজ আমি আপনাদের জন্য সহজ ও প্রাকৃতিক ভাবে ত্বক ফর্সা করার উপায় নিয়ে কিছু বাস্তব এবং কার্যকরী পরামর্শ দেব।
প্রথমে কথা হলো শ্যামলা ত্বককে ফর্সা করার জন্য আপনাকে অবশ্যয় নিজের
প্রতি যত্নশীল হতে হবে। ভেতর থেকে যত্ন নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন
ঘুম থেকে উঠে শুরুতেই সকালে খালি পেটে গরম পানি বা লেবুর পানি পান করার
অভ্যাস তৈরি করুন। কারণ এই পানি শরীর থেকে টক্সিন বের করে এবং ত্বক
প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর এবং উজ্জ্বল হয়। এছাড়া সারা শরীর ফর্সা করতে
প্রতিদিনের খাবারের সাথে ফল ও সবজি রাখুন।
দ্বিতীয়ত শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায় হলো ফেসপ্যাক ও স্কিন কেয়ার। আপনি
বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া উপকরণ যেমন দুধ, মধু, হলুদ ও অ্যালোভেরা দিয়ে বানানো
ফেসপ্যাক সপ্তাহে ২–৩ বার ব্যবহার করলে শ্যামলা মুখ ফর্সা হয়। এগুলাতে কোনো
কেমিক্যাল বা ভেজাল নাই। এই ফেসপ্যাক গুলো অনেক কার্যকর। এর সাথে মধু অ্যাড
করতে পারেন। এক রাতের রেমেডি হিসেবে মধু মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন।
আরেকটা টিপস আপনার জন্য আপনি যদি খুব দ্রত নিজের ত্বক শ্যামলা থেকে ফর্সা
করতে চান তাহলে ত্বককে রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে। ত্বক রোদ থেকে বাচানোর জন্য
অনেক ধরনের সানস্ক্রিন পাওয়া যায়। যখনি বাইরে বের হবেন তখনই সানস্ক্রিন
ব্যবহার করে বের হবেন, যেনো অতিরিক্ত রোদ ত্বককে কালচে না করে। কালচে হওয়া
মানের নিজের কাছে আর ভালো লাগবে না। আমি কি বুঝাইতে চাইছি আশা করি বুজতে
পারছেন।
সবশেষে বলি ধৈর্য ধরে নিয়মিত যত্ন নিলে ফল দেখবেন। মাত্র এক বা দুই দিনে
ফর্সা হওয়া সম্ভব না তবে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কিছু সপ্তাহের মধ্যে চোখে পড়ার
মতো পরিবর্তন আসবে আপনি নিজেই বুজতে পারবেন আপনার পরিবর্তন। সেই সাথে সাথে
আশেপাশের মানুষ ও বলা শুরু করবে কিরে কি মাখিস যে ফর্সা হচ্ছিস। তো আমার এই
পরামর্শগুলো মানলে আপনি ঘরে বসে প্রাকৃতিকভাবে এবং নিরাপদে আপনার ত্বক ফর্সা
করতে পারবেন ।
যে খাবারগুলো খেলে ত্বক ফর্সা হয়?
ত্বক ফর্সা করার উপায় এই কথাটা শুনলে আপনার মাথায় শুধু ক্রিম বা কিছু
ফেসপ্যাক এর কথা সরণ করিয়ে দেই। কিন্তু আপনি কি জানেন খাবারের মাদ্ধমেও আপনি
ভিতর থেকে শ্যামলা থেকে ফর্সা হতে পারবেন। আপনার ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল রাখতে
খাবারের গুরুত্ব খুবই বেশি। শুধু বাইরের ক্রিম বা ফেসপ্যাক ই নয় এগুলার
পাশাপাশি যদি আপনি নিম্নবর্ণিত খাবারগুলো খাওয়া শুরু করেন তাহলে খুব দ্রত
আপনি ভিতর থেকে ফর্সা হওয়া শুরু করবেন।
- পানি — ত্বক হাইড্রেটেড রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পানি। এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে। আর হাইড্রেশন ঠিক থাকলে ত্বক প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল ও ফ্রেশ দেখায়।একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৮ গ্লাস প্রায় ২ লিটার পানি খাওয়া উচিত।
- লেবু — লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার। লেবু পছন্দ করে না এরকম মানুষ কমই আছে। লেবু কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে। ত্বকের মেলানিন হ্রাস করে এবং ধূসরত্ব কমিয়ে ফর্সা ত্বক এনে দেয়। লেবু বেশি খাওয়া হলে পেটে অ্যাসিডিটি হতে পারে, তাই সীমিত মাত্রায় ব্যবহার করুন।
- গাজর — ভিটামিন এ বিটা ক্যারোটিন প্রচুর থাকে যা ত্বকের কোষ পুনর্নির্মাণে সাহায্য করে। নিয়মিত খেলে ত্বক মসৃণ ও দীপ্তিময় হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ১–২ মাঝারি আকারের কাঁচা বা রান্না করা গাজর প্রতিদিন খাওয়া ভালো।
- দুধ — দুধে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন বি২ সমৃদ্ধ। ত্বককে নরম করে, উজ্জ্বল রাখে এবং ফর্সা করার প্রাকৃতিক সহায়ক হিসেবে কাজ করে। প্রায় ১ গ্লাস বা ২০০–২৫০ মিলি দুধ প্রতিদিন যথেষ্ট।
- টক দই — প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ যা ত্বকের স্বাস্থ্য বাড়ায় এবং ইনফেকশন বা ফুসকুড়ি কমায়। নিয়মিত খেলে ত্বক ফাঁপা ও উজ্জ্বল হয়। টক দই খাওয়াও যায় আবার মাখাও যায় দুইটায় উপকারী।
- বাদাম — বাদাম ভিটামিন ই সমৃদ্ধ যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ত্বকের ড্যামেজ কমায়, কোষকে রক্ষা করে এবং ত্বককে দীপ্তিময় রাখে।
- ডার্ক চকলেট — ডার্ক চকলেট ফ্লাভানয়েড সমৃদ্ধ যা ত্বকের কোলাজেন রক্ষা করে। ত্বককে সুস্থ রাখে এবং সূর্যের ক্ষতি থেকে বাঁচায়।
- কমলা — ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা ত্বক ফর্সা রাখতে এবং দাগ হ্রাস করতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেলে ত্বক প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল হয়।
- মিষ্টি আলু — ভিটামিন এ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ত্বকের কোষ পুনর্নির্মাণ করে এবং কালচে ভাব কমিয়ে প্রাকৃতিক ফর্সা ত্বক দেয়।
- শাকসবজি— এতে প্রচুর ভিটামিন এ, সি, কে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ত্বককে কালচে হওয়া থেকে রক্ষা করে সাথে সাথে উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর রাখে।
সারা শরীর ফর্সা করার উপায়
সারা শরীর ফর্সা করার শুরুতে আপনাকে পরিস্কার পরিছন্ন থাকতে হবে এটা সবচেয়ে
বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন সকালে কমলার রস, লেবুর রস বা মিশ্র ফলের জুস
খেলে সারা শরীর ভেতর থেকে ধীরে ধীরে ফর্সা করা যায়। এগুলো ভিটামিন সি ও
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং কালচে ভাব কমায়।
এছাড়া মিষ্টি আলু, গাজর ও অন্যান্য ফলের জুসও নিয়মিত খেলে শরীরের ত্বক
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হয়।
লোশন বা ময়েশ্চারাইজার – বাইরে থেকে ফর্সা রাখা। প্রতিদিন গোসলের পরে পুরো
শরীরকে নরম লোশন বা নারকেল তেল,অ্যালোভেরা জেল দিয়ে ময়েশ্চারাইজ করুন। এটি
ত্বককে নরম রাখে ড্রাই হওয়া রোধ করে এবং প্রাকৃতিক ফর্সা ভাব বজায় রাখে।
বিশেষ করে হাত পায়ে ও ঘাড়ে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ত্বক
সবসময় উজ্জ্বল ও সুন্দর দেখায়। আপনি যদি আপনার পুরো শরীর ফর্সা করতে চান
তাহলে এই নিয়মগুলো মেনে চলুন।
ছেলেদের ত্বক ফর্সা করার উপায়
ভাই অনেকেই ভাবে ত্বক ফর্সা হওয়া মানে শুধু ক্রিম মাখা কিন্তু আসল রহস্যটা ভেতর থেকে যত্ন নেওয়ার মধ্যে লুকিয়ে আছে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা নিয়মিত ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া আর পর্যাপ্ত ঘুম নেওয়া এগুলোই ছেলেদের ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা ও সতেজ করে। বাইরে গেলে রোদে পুড়ে যাওয়া আটকাতে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে কারণ সূর্যের তাপ ত্বককে দ্রুত কালচে করে ফেলে।
আপনি এর পাশাপাশি প্রতিদিন সকালে ও রাতে ভালো মানের ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। চাইলে সপ্তাহে একদুদিন ঘরোয়া ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন যেমন দুধ, কলা বা টক দই। এগুলো প্রাকৃতিকভাবেই ত্বক উজ্জ্বল করে। আর যদি দ্রুত ফল চান তাহলে ছেলেদের জন্য আলাদা তৈরি কিছু ফেসক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন নিয়মিত যত্নই আপনাকে আসল ফর্সা ও আত্মবিশ্বাসী চেহারা দেবে।
মেয়েদের ত্বক ফর্সা করার উপায়
মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় যত্নশীল বেশি। এবং ছেলেদের তুলনায় দ্রত ফর্সা হতে পারে।
কারণ আমি দেখেছি আমার চাচাতো বোন কালো ছিলো। সে আস্তে আস্তে নিজের প্রতি
যত্নশীল হতে শুরু করলো। তারপর বাসায় হোম রেমিডি বা ঘরোয়া উপায়ে বিভিন্ন
ফেসপ্যাক তৈরি করে লাগাইতে থাকে। এবং প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে
উঠে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলত। এরপর গোসলের সময় বিভিন্ন ফেসপ্যাক
যেগুলা বাসায় তৈরি করত ওইগুলা ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখতো।
এভাবেই সে ধীরে ধীরে উজ্জ্বল হতে লাগলো। তাহলে বলা যায় মেয়েদের ত্বক ফর্সা ও
উজ্জ্বল করার জন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো নিয়মিত ফেসপ্যাক ব্যবহার। ঘরে বসেই
সহজে কিছু প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক তৈরি করা যায় যা ত্বকের কালচেভাব দূর করে
উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। যেমন দুধ মধু প্যাক ত্বককে মসৃণ ও কোমল করে, টক দই, লেবু
প্যাক ভিটামিন সি। এছাড়া বেসন হলুদ প্যাক ত্বক পরিষ্কার করে এবং ভেতর থেকে
উজ্জ্বলতা আসতে শুরু করে।
কালো ত্বক ফর্সা করার উপায় জানুন
কালো ত্বক নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তা করেন কিন্তু আসল কথা হলো সঠিক যত্ন নিলে
যেকোনো ত্বক উজ্জ্বল আর ফ্রেশ দেখানো সম্ভব। প্রথমেই ভেতর থেকে যত্ন
নিন শাকসবজি আর ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার লেবু, কমলা, গাজর বেশি খান।
এগুলো ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে তোলে। বাইরে গেলে রোদে সরাসরি না
দাঁড়িয়ে ছাতা ব্যবহার করা খুব জরুরি কারণ সূর্যের ইউভি রশ্মিই ত্বককে বেশি
কালচে করে দেয়।
একই সাথে ঘরোয়া উপায়ও কাজে লাগাতে পারেন। যেমন হলুদ,চালের গুড়া,বেশন,কলার
পেস্ট, দুধ ও মধুর মিশ্রণ মুখে লাগালে ত্বক নরম হয়, চাইলে বাজারের
কিছু ভালো ফেসওয়াশ ও ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন তবে সবকিছুই নিয়মিত করতে
হবে। মনে রাখবেন কালো থেকে ফর্সা হওয়া একদিনে সম্ভব নয় বরং ধৈর্য ধরে ভেতর
এবং বাহির দুদিক থেকে সমান ভাবে যত্ন নিলেই ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বল ও সুন্দর
হয়ে উঠবে।
ত্বক ফর্সা রাখার জন্য বর্জনীয় খাবার
উপরোক্ত আলোচনায় আমরা জেনেছি শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার জন্য ভালো খাবার
অত্যন্ত প্রয়োজন। ঠিক তেমন ই ভাবে বর্জনীয় খাবার ত্যাগ করারও খুবী
গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় আমরা বুঝতে না পেরেই এমন খাবার খাই যা আমাদের ত্বকের
উজ্জ্বলতা নষ্ট করে দেয়। যেমন অতিরিক্ত ভাজা ভুজি, ফাস্টফুড, কোমল পানীয়
কিংবা অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাবার ত্বকের ভেতরে টক্সিন জমাতে সাহায্য করে। ফলে
ত্বক রুক্ষ হয়ে যায় এবং আসল উজ্জ্বলতা হারাতে শুরু করে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায় কেউ যদি প্রতিদিন বার্গার চিপস আর কোল্ড ড্রিংক
প্রতিনিয়ত খেতে থাকেন তাহলে তার ত্বক দ্রুত তেলতেলে হয়ে ব্রণ বা দাগ ছোপ দেখা
দিতে পারে। তাই ফর্সা ও উজ্জ্বল ত্বক চাইলে খাবারের তালিকা থেকে এসব
অস্বাস্থ্যকর জিনিস বাদ দিতে হবে।এই বিষয় গুলো মাথায় রাখা উচিৎ। আপনি যদি এসব
খাবারে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন যে প্রতিদিন না খেলে হয় ই না তাহলে একবারে বাদ দিতে
পারবেন না। ধীরে ধীরে কমাইতে হবে।
শ্যামলা থেকে ফর্সা হতে কতদিন লাগে?
শ্যামলা থেকে ফর্সা হতে কতদিন লাগে? অনেকেরই এই ধরনের প্রশ্ন থাকে যদিও
মানুষের ত্বকের রঙ জেনেটিকভাবে নির্ধারিত হয়। এটা তাৎক্ষনিক পরিবর্তন করা
সম্ভব নয়। আপনি যদি প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করেন রোদে বের হলে
সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন আর নিয়মিত ফল মূল শাক সবজি খান তাহলে কয়েক সপ্তাহের
মধ্যেই ত্বকের উজ্জ্বলতায় পার্থক্য বুজতে পারবেন। তবে সঠিক যত্ন নিলে ২ থেকে
৩ মাসের মধ্যেই ত্বক আগের চেয়ে উজ্জ্বল ও সতেজ হয়ে ওঠে।
ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপায়ে অনেকে আছেন যারা তাদের ত্বক উজ্জ্বল করেছেন। এটা
সম্ভব কারণ আমার কাজিন অনেক টাই কালো ছিল। আপনি যদি তার আগের কোন ছবি দেখেন
আর এখন কার ছবি দেখেন চিন্তেই পারবেন না। সে ন্যাচারাল ভাবে ধীরে ধীরে
পরিবর্তন হয়েছে। এক রাতের মদ্ধেই কিন্তু হইনি সময় লেগেছে। ২ থেকে ৪ মাসের মতো
সময় লাগছে। তার কলেজ করতে হইসে প্রাইভেট পড়তে হইসে রোদে হাটা হাটি করছে। এই
জন্য আস্তে আস্তে পরিবর্তন হয়েছে।
গরমে ত্বক ফর্সা রাখার উপায় দেখুন
গরমের সময় ত্বক ফর্সা রাখা অনেকের কাছে কঠিন মনে হতে পারে। গরমের সময় রোদ ঘাম
আর ধুলোবালি ত্বককে দ্রুত কালচে করে তোলে। এজন্য বাইরে বের হলে অবশ্যই
সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে এবং সম্ভব হলে ছাতা ব্যবহার করা ভালো। ঘরে ফিরে
ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন কারণ ঘাম আর ধুলো ত্বকের রঙ দ্রুত নিস্তেজ করে
ফেলে। ত্বক ধোয়ার ক্ষেত্রে ভালো মানের ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে।
তবে অবশ্যয় আপনার ত্বক বুঝে।
যারা স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী আছে বা চাকরিজীবী অফিসের কাজে যারা
রিকশায় বা হেঁটে রোদে যাতায়াত করেন তাদের ত্বক খুব দ্রুত পুড়ে যায়। এ
ক্ষেত্রে ঘরে ফেরার পর ঘরোয়া ফেসপ্যাক লাগাতে পারেন। যা আপনাকে অনেক সাহায্য
করবে। যেমন দুধ বা শসার পেস্ট মুখে লাগালে অনেকটা রোদে পোড়া ভাব কমে যায়।
গরমে ত্বকের উজ্জলতা ধরে রাখা কঠিন হলেও আপনি যদি নিয়মিত যত্ন নেন তাহলে
গরমকালেও ত্বক উজ্জ্বল রাখা সম্ভব।
পরিশেষেঃ শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায়
শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায় গুলোর মধ্যে সেরা উপায় হলো নিয়মিত পানি ও
ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। নিয়মিত পানি ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার আপনাকে
ধীরে ধীরে ভিতর থেকে আকর্ষণীয় করে তুলবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা
হলো আমরা মানুষরা নিজে নিজে তৈরি হয়নি আমাদেরকে আমাদের সৃষ্টিকর্তা তৈরি
করেছেন। তাই মানুষের কোন হাত নেই।
সুতরাং সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে যেভাবে বানিয়ে খুশি হয়েছেন সেটা নিয়েই আমাদেরও
খুশি থাকা উচিত। আশা করি আপনাদের কে অনেক কিছু বিষয় কিছু হলেই আইডিয়া দিতে
পেরেছি। সবার কাছে পোস্ট টি পোঁছাতে শেয়ার করে দিন এবং এই বিষয়ে যদি আপনাদের
কোনো মতামত থাকে অবশ্যয় কমেন্টের মাধ্যমে জানাইতে পারেন।



আপডেট ধারার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url