দিনে ২০০
থেকে ৫০০ টাকা আয় নিয়ে আপনি চিন্তিত পড়াশুনা শেষ করে বাড়িতে বেকার বসে আছেন ।
তাহলে দিন বদলের পালা । এখন আমরা প্রতিদিন কিভাবে টাকা আয় করতে পারেন তা নিয়ে
আলোচনা করবো ।
প্রতিদিন কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় এগুলো নিয়ে অনেক পোস্ট দেখেছেন কিন্তু টাকা
আয় করতে পাচ্ছেন না । তবে এখন এই পোস্টটি পড়ে আপনার সঠিক সমাধান পেয়ে যাবেন
তাহলে চলুন টাকা ইনকাম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি ।
দিনে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করুন পাশাপাশি বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন । আপনি যদি
একজন ছাত্র হয়ে থাকেন বুঝতে পারতেছেন না এখন কি করবেন আপনিও খুব সহজেই দিনে ২০০
থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন এটা তো গেল যারা পড়াশোনা করে তাদের যারা
পড়াশোনা করে তাদেরকে নিয়ে এবার আসি এই পোস্টটি থেকে উপকৃত হবেন তারাও যারা
বিভিন্ন সমস্যার কারনে পড়াশোনা করতে পারেননি কিন্তু ভাবতেছেন টাকা পয়সা ইনকাম
করা উচিত তাদের জন্যও অনেক উপকারে আসবে এই পোস্ট ।
আমি দেখিয়েছি পোস্টে কিভাবে আপনি ১০০% ইনকামের পথ খুঁজে পেতে পারেন বাস্তব
পরিস্থিতি থেকে আমি বলার চেষ্টা করেছি যাতে আপনি বা আপনারা উপকৃত হন এটাই আমার
মূল উদ্দেশ্য অনলাইন ইনকামের এই টপিকটি নিয়ে লিখার উদ্দেশ্য
একটাই সেটা হল বাংলাদেশের বেকারত্ব সংখ্যা অনেক বেশি অনেক ভাই আছেন যারা
বুঝতে পারতেছেন না কি করবেন চেষ্টা করতেছেন চাকরির চেষ্টা চাকরি হচ্ছে না হতাশার
মধ্যে পড়ে গিয়েছেন ।
তাদের কথা ভেবে কে বাস্তব ৮ টি উপায় নিয়ে আলোচনা করব যে আপনি কিভাবে ইনকাম করে
টাকা পকেট পর্যন্ত নিয়ে আসবেন। অনেকে বুজতে পারতেছেন না কি দিয়ে শুরু করবেন ।
তাদের জন্য আমার এই আর্টিকেল খুবই উপকার হবে অনেকে আছেন যারা কাজ কে ছোট মনে করেন
তাই কাজ শুরু করেন না সে জন্য ইনকাম ও হয়না । চেষ্টা করব আপনার সময় নষ্ট না করতে
। আমি মন থেকে চাই আপনারদের সঠিক কিছু পরামর্শ দেওয়ার ।
আজকে আমি প্রায় ৮ রকম উপায় নিয়ে আলোচনা করবো । কোন কোন উপায়ে আয়ের সুযোগ রয়েছে
চলেন সেগুলা দেখি প্রথমে বিস্তারিত বলবো টাইপ করে আয় বিকাশে পেমেন্ট কিভাবে
প্রতিদিন বিকাশ নগদ রকেটে পেমেন্ট নিতে পারবেন সেগুলা নিয়ে । এরপর
মাইক্রোজব করে বিকাশে পেমেন্ট পাবেন যেভাবে কোন কোন সাইটে কাজ করবেন সেগুলা বলবো
টিউশনি চালিয়ে আয় করার সুযোগ রয়েছে । লোকাল চাকরি করে টাকা আয় করার সুযোগ
আছে । বাচ্চাদের স্কুল ভ্যান চালিয়ে আয় করা যেতে পারে ।
ছেলে মানুষদের জন্য কাজের অভাব নেই । কাজ করতে পারলে অনেক রকম উপায়ে কাজ করে
ইনকাম করা সম্ভব । এখন প্রশ্ন হল যে আমরা এত কাজ থাকার পরেও কেন বেকার আছি? বেকার
বসে থাকার প্রধান কাজ হচ্ছে মানুষ কি বলবে এটা সবচেয়ে বড় বাধা প্রত্যেকটা মানুষ
কোন না কোন দিক আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই ভালো রেখেছেন অল্প সময়ের মধ্যে যদি
ভাবেন যে অনেক টাকা ইনকাম করব লাখ লাখ তাহলে সম্ভব না এক লাফে গাছে উঠতে পারবেন
কখনো পারবেন না ।
এজন্য আপনাকে আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে উপরে উঠতে হবে । মানুষের কথায় কান না দিয়ে
কাজে ঝাঁপিয়ে পড়লেই সফলতা আসবে । এখন যারা অনেক বড় বড় পর্দায় রয়েছে তাদের
জীবন আপনি ঘেঁটে দেখলে বুঝতে পারবেন তাদের শুরুটা কেমন ছিল শুরুটা একদমই
নিম্নমানের ছিল তারা কিভাবে এত বড় হলো ? আস্তে আস্তে সময় কে কাজে লাগিয়ে ধৈর্য
ধরে পরিশ্রম করে মানুষের কথাকে ফেলে রেখে শুধু সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছে বলে
তারা আজকে এত বড় ।
টাইপ করে আয় বিকাশে পেমেন্ট
আপনি প্রতিদিন ২০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করুন । আপনার কাছে অবশ্যই একটি স্মার্ট ফোন রয়েছে
তাছাড়া তো আপনি এই পোস্টটি দেখতে পেতেন না ধরে নিলাম আপনার কাছে একটা ডিভাইস
রয়েছে এই ডিভাইসের মাধ্যমে আপনি আপনার ঘরে বসে টাইপ করে আয় করতে পারবেন কোন
ঝামেলা ছাড়াই। দৈহিক কোন পরিশ্রম নাই মাঠে-ঘাটে দৌড়াদৌড়ি নাই অফিসের সিনিয়রের
কোন বকাবকি নাই আপনি রুমে থেকে শুধু আর্টিকেল লিখবেন এই লেখার মাধ্যমে আপনি
প্রতিদিন ২০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করতে পারবেন ।
এই ডিজিটাল বাংলাদেশ অনেকেই অনেক স্মার্ট ডিজিটাল ডিভাইস সম্পর্কে অনেক কিছুই
জানেন কিন্তু এটা জানেন না যে কোথায় গিয়ে ইনকামের ব্যবস্থা হবে তা কি করলে টাকা
আয় হবে তাদের জন্য এটা অনেক উপকার হবে শুধু আপনার লেখালেখির একটু দক্ষতা থাকতে
হবে এই দক্ষতা তৈরি করতে খুব বেশি পরিশ্রমের দরকার আপনার পড়বে না আপনি যদি ভেবে
থাকেন অনলাইন থেকে দিনে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করবেন তাহলে টাইপ করে আয়
আপনার জন্য বেস্ট
এখন আপনি বলতে পারেন আমি তো জানি না কোথায় কাজ পাব কে আমাকে কাজ দিবে তাহলে আমি
ব্যক্তিগতভাবে আপনাকে একটি তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারি । আপনি যে
প্রতিষ্ঠানে জব করতে পারেন সেটা হচ্ছে রাজশাহীর সুনামধন্য ডিজিটাল মার্কেটিং
ইনস্টিটিউট এই প্রতিষ্ঠানে আপনি লেখালেখি জব করে প্রতিদিন টাকা আয় করতে পারবেন
প্রতিষ্ঠানের কিছু নিয়ম রয়েছে আপনাকে জব দেওয়ার আগে তারা সাত দিনের অনলাইন
কোর্স সম্পন্ন করাবেন ।
এই অর্ডিনারিতে আপনি বাংলা লিখে ৩০০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৫০০০ টাকা
পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন তারা বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট দিয়ে থাকে । বাংলা
লেখালেখি করি আপনি আপনার ক্যারিয়ার কি সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে
পারবেন। এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি প্রতিষ্ঠান আপনি
চাইলে অর্ডিনারি আইডিতে বাংলা লেখালেখি করে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত
আয় করতে পারবেন ।
মাইক্রোজব করে বিকাশে পেমেন্ট
বাংলাদেশে মাইক্রো জব সাইটের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্য অনেক মাইক্রোসাইট রয়েছে আপনি
চাইলে ছোট কাজগুলো করে দিনে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করতে পারেন । আপনি হয়তো
ভাবতেছেন কাজগুলো আবার কি রকম করতে পারব কিনা হ্যাঁ আপনি কাজগুলো করতে
পারবেন মাইক্রোজব সাইটে এমন কিছু কাজ আছে কাজগুলো হচ্ছে ওয়েবসাইট ভিজিট করা
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করা ইউটিউবের ভিডিও দেখ ।
ফেসবুকে লাইক কমেন্ট শেয়ার করা বিভিন্ন রকম সার্ভের কিছু কাজ আছে আপনি অনলাইনে
প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলে তার বিনিময়ে আপনি টাকা পাবেন ইন্সটল করতে বলবে কি
ওআইসি এর মাধ্যমে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন প্রতিদিন আপনি একটু সময় দেন তাহলে
মোটামুটি ভালো একটা ইনকাম বিকাশের মাধ্যমে পকেট পর্যন্ত নিতে পারবে । ছোট
ছোট কাজ করতে হবে তার বিনিময়ে ছোট ছোট আয় হবে । মনে রাখবেন ছোট ছোট
বালিকণা থেকেই পাহাড়ের সৃষ্টি ।
আমি যেই সাইডে এক দুই ঘন্টা কাজ করছিলাম সেই সাইট আপনাদের সাথে শেয়ার করব এবং
স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব । ওয়েবসাইটের নাম
হচ্ছে ওয়ার্ক আপ জব এটি সম্পূর্ণ একটি ট্রাস্টেড সাইট । প্রতিনিয়ত
পেমেন্ট উইথড্র দিতেছে অনেক ফ্রিল্যান্সাররা পেমেন্ট নিয়ে আপনি কোন ধরনের চিন্তা
করবেন না । এই সাইট পেমেন্ট নিয়েই কখনো ঝামেলা করে না সঠিকভাবে আপনি আপনার
টাকা বুঝে পাবেন কোন সমস্যা নাই ।
টিউশনি করিয়ে আয় করুন
আপনার বেকারত্ব দূর করার খুবই কার্যকরী উপায় হলো টিউশনি চালিয়ে আয় করা । আপনার মতো লাখ লাখ যুবক টিউশনি চালিয়ে আয় ইনকাম করতেছে তাহলে আপনি কেন করবেন না।আপনার জন্য সেরা উপায়
হবে টিউশনি করানো । এটা
শুধু টিউশনি করাতেই সীমাবদ্ধ নেই এটা অনেক সম্মানের পেশা বসে না থেকে সময় গুলোকে
কাজে লাগান ভাই। অনেকে আছেন আজ শুরু করবো কাল শুরু করবো এভাবে সময় গুলা পার করে দিচ্ছেন
।
টিউশনি শুরু করার আগে আপনাকে ভাবতে হবে আপনার যোগ্যতা কতটুকু পড়ানোর । আপনি যদি
পড়াশুনা শেষ করে বেকার থাকেন তাহলে আপনি টিউশনি করাতে পারেন ইন্টারমিডিয়েট ছাত্র
ছাত্রী দেরকে । তবে আরেকটি বিষয় আপনি যেই সাবজেক্ট এ ভালো সেটা নিয়ে পড়ান তাহলে
আপনিও বুজতে পারবেন এবং তাদের কেও সহজে বুঝাতে পারবেন । আপনি যেকোনো একটি বা
দুইটি বিষয় দিয়ে শুরু করুন । যদি বিষয় গুলো ভুলে যান তাহলে আপনি আবার পড়াশুনা করে
আইডিয়া নিন ।
আপনি যদি ইন্টার পাশ করে থাকেন তাহলে কি করবেন । কাদেরকে পড়াবেন এরকম চিন্তা আসতে
পারে । আপনি পড়াতে পারেন ৫ম থেকে এসএসসি পর্যন্ত । তাহলে আপনার জন্য সহজ হবে
আপনার জানার মধ্যে সব আপনি পার করে গেছেন এগুলা আপনার পড়াইতে কোন ঝামেলায় হবে না
আপনি ভাই বসে না থেকে শুরু করেন । এটা মেয়েদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য মেয়েরাও
চাইলে টিউশনি চালিয়ে আয় করে খুব ভালো ইনকাম শুরু করতে পারে ।
এতক্ষণ জেনারেল স্টুডেন্ট পড়ুয়াদের নিয়ে আলোচনা করলাম এবারে আলোচনা করি
যারা হাফেয আছেন তারা কিভাবে টিউশনি পাবেন কাদের কে পড়াবেন? আপনারা যারা হাফেজী
পড়াশোনা করেছেন তাদের জন্য টিউশনির মাধ্যমে ছোট বাচ্চারা । এটা অনেক উত্তম কাজ
আমরা অনেক পরিবার আছি যারা আমাদের ছোট ছোট সন্তানকে আরবি শিক্ষাই শিক্ষিত করতে
চাই । আপনি সেই বাচ্চাগুলোকে পরিয়ে অনায়াসে ইনকাম করতে পারবেন আমি আমার
ছোট ভাইকে অলরেডি একজন হাফিজের কাছে রেখে এসেছি ।
এখন কথা হচ্ছে আপনি টিউশনি খুঁজে পাবেন কিভাবে আপনি যদি গ্রামে বসবাস
করেন তাহলে বিভিন্ন যৌন সমাগম এলাকাতে কাগজে ছাপাইতে পারেন আমি পড়াইতে
চাই মোবাইল নাম্বার দিতে পারেন বিভিন্ন দোকানের আশেপাশে লাগিয়ে রাখতে পারেন
স্কুল কলেজ থাকে যদি তাহলে স্কুল কলেজের আশেপাশে ছাপানোর ব্যবস্থা লাগিয়ে
রাখতে পারেন । এবার আপনি যদি শহরে বসবাস করেন তাহলে বিভিন্ন কারেন্টের
পিলিয়ার বড় বড় দেয়ালে লাগিয়ে রাখতে পারেন আশা করি এভাবে আপনি খুঁজে
পাবেন ।
লোকাল চাকরি করে টাকা আয়
আপনি লোকাল চাকরি করেও আয় করতে পারেন বেকার বসে না থেকে আপনি আপনার এলাকাতেও
চাকরি করে প্রতিদিন আই ইনকাম করতে পারবেন । জি অবশ্যই অনেকেই লোকাল চাকরি
করে জীবন চালাইতেছে তাহলে আপনি কেন বেকার বসে থাকবেন এই সুযোগ কেন মিস করবেন
। আপনি ফ্রিতেই শুরু করতে পারবেন আপনি যেহেতু বেকার আপনার কাছে টাকা পয়সা
নেই সেহেতু এটা আপনার জন্য খুব ভালো সুযোগ হতে পারে কোন লেনদেন বা টাকা-পয়সা
ছাড়ায় আপনি চাকরি করতে পারবেন ।
আপনি যদি রাজশাহীর নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে রাজশাহীতে অনেক ধরনের লোকাল জবের
সুযোগ রয়েছে আপনি চাইলেই এই জবগুলোতে জয়েন করে টাকা উপার্জন শুরু করতে পারবে এর
পাশাপাশি আপনি চাইলেও অনেক এডমিশন কোচিং সেন্টার আছে আপনি সেগুলো তো খোঁজ নিয়ে
কাজে লাগতে পারে কিছু কিছু কোচিং সেন্টারে আপনাকে প্রতিদিন পেমেন্ট করে
থাকে থাকেন আবার অনেকে মাসিক ভিত্তিক পেমেন্ট করে থাকে ।
লোকাল সাইটে কাজ করে সবচেয়ে বড় উপকার পাবেন যেটা সেটা হল আপনি আপনার নিজস্ব
বাসা থেকে এই কাজগুলো করতে পারবেন বাসা থেকে যদি করতে পারেন তাহলে আপনার বাসা
ভাড়া লাগবে না খাওয়া-দাওয়া টাকা লাগবে না এটা আপনার জন্য বড় সুযোগ হোক যে এই
সুযোগটা বাইরে জব করলে পেতেন না বাইরে জব করলে । এই পোস্ট টি যারা পড়বে তারা
ইনকামের পথ খুজতে এসেছেন সে জন্য ঘরে বসে না থেকে এগুলা একটু খুঁজে দেখেন ।
বাচ্চাদের স্কুল ভ্যান চালিয়ে আয়
বাচ্চাদের স্কুল ভ্যান চালিয়ে আয় করতে পারেন । অনেক স্কুল আছে যে
স্কুলগুলোতে স্কুল ভ্যান ব্যবহার করা হয় আপনি সেই ভ্যান গুলো চালিয়ে প্রতিদিন
বা প্রতি মাসে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা অনায়াসে আয় করতে পারবেন । স্কুল ভ্যান এর
চাহিদা অনেক বেশি কারণ বাচ্চারা হেটে যেয়ে স্কুল করা থেকে ভালো হবে যদি
ভ্যানে করে স্কুলে যেতে পারতো পিতা মাতারা অনেক শান্তিতে থাকতে পারে
যে আমার বাচ্চাটি বেহানি করে চলে গিয়েছে । পাশাপাশি বাচ্চারাও নিরাপদে পোছায়
এখন আপনি যদি মনে করেন যে আপনি ভ্যান চালাইতে পারেন না বা ভ্যান কিনার টাকাও নাই
তাহলে চালানো শিখবেন কিভাবে? জীবনে কষ্ট না করলে কিছু পাবেন না কষ্ট করলেই
জীবনের সফলতা আসবে । যেহেতু আপনার ভ্যান নাই আপনার আশেপাশে অনেক পরিচিত
মানুষ আছে আপনি বলেন ভাই একটু আমাকে শিখান একটু ছোট হলেন সমস্যা কি? কিছু
পেতে হলে কিছু ত্যাগ করতে হবে শিখার ক্ষেত্রে লজ্জা নাই। মাথায়
রাখবেন শিখতে পারলেই আপনার একটি কাজের ব্যবস্থা হবে।
আমি নিজে দেখেছি এক ভাই স্কুল ভ্যান চালাইতো এখন সে ওরকম ৫ টি স্কুল ভ্যানের
মালিক । প্রতি ভ্যান থেকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় হয় । তাহলে ভাবুন একটা তে
১০ হাজার হলে ৫ টি ভ্যানে ৫০ হাজার টাকা । তাহলে বুজতে পারছেন এটার ভবিষ্যৎ কেমন
আপনি যেই কাজ টিকে ছোট মনে করতেছেন সেই কাজ করে মানুষ আজকে ৫০ হাজার টাকা আয়
ইনকাম করে সুন্দর ভাবে জীবন চালিয়ে নিচ্ছে । আপনিও পারবেন তবে আপনাকে শুরু করতে
হবে ।
দোকান সহকারী হয়ে আয় করুন
দোকান সহকারী হয়েও আপনি আয় করতে পারেন অনেক দোকান আছে যেগুলোতে একা সামলাতে পারে
না দোকানদাররা আপনি যদি সেখানে তাদেরকে এসিস্ট করেন তাহলে তাদের সুবিধা হলো আপনিও
কিছু টাকা পেলেন একটু খোঁজখবর নিলে আপনি এই ধরনের দোকানে দোকান সহকারী পদে চাকরি
পাবেন । আপনার রোদে মাঠে-ঘাটে কাজ করার প্রয়োজন নেই । হতে পারে কাপড়ের দোকান
মুদিখানার দোকান গার্মেন্টসের দোকান আপনি চাইলে শোরুমেও কাজ করে ইনকাম করতে পারেন
।
যদি আমার এক্সপেরিয়েন্স থেকে আপনাকে বলি আমি জাস্ট দেখার জন্য আমার এলাকাতে আমি
চেষ্টা করছিলাম যে দেখি কোন কাজ পাওয়া যায় কিনা । তো আমি খোঁজা শুরু করলাম
বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ঘাটাফাটি করে দেখলাম হ্যাঁ অনেক জায়গাতে কর্মী নিয়োগ চাইতেছে
আমি যোগাযোগ করলাম তারা বলল আপনি এখানে কাজ করতে পারেন । এগুলোতে কাজ করি
আপনি পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন ।
আমি অনেকগুলো কাজের অফার পেয়েছিলাম যেমন ফটো কাপের দোকানে কম্পিউটারের
দোকানে প্রাইভেট কোচিং সেন্টারে এতে বুঝতে পারলাম আপনিও যদি চেষ্টা করেন
আপনি ওই ধরনের কাজ পেয়ে যাবেন । আমাকে বলছিল ফটোকপির দোকানে কাজ করার জন্য
যেখানে কাজ করতে হবে দুপুর ২ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে একদিন
করে ছুটি যেদিন মার্কেট বন্ধ থাকে এবং বলছিল যে আপনি মাসে ৮০০০ টাকার মত
পাবেন ।
রিস্কা/ভ্যান চালিয়ে প্রতিদিন আয়
আপনি রিক্সা বা ভ্যান চালিয়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৫০০ টাকার বেশি আয় করে পকেটে
নিতে পারবেন । হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই শুনেছেন এটা কি আপনি জানেন যে রিক্সা চালিয়ে
মানুষ কি পরিমান টাকা ইনকাম করতেছে । আপনাকে রিক্সা কিনার দরকার নেই আপনি একদিনের
জন্য ভাড়া নিয়ে সারাদিন চালিয়ে আবার জমা দিতে পারেন । আপনি সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা
পর্যন্ত আয় ইনকাম করতে পারেন প্রতিদিন যদি ১০০০ হাজার টাকা করে ইনকাম করেন তাহলে
ভেবে দেখছেন মাসে ৩০ হাজার টাকা পাবেন ।
পৃথিবীতে মানুষ অনেক ভাবে ইনকাম করা করা যাবে । তার মধ্যে বিনা টাকায় আপনি রিকশা
চালিয়ে ইনকাম শুরু করতে পারেন । যদি মনে করেন মানুষ কি বলবে । মানুষ হাসবে দেখে
যদি এরকম প্রশ্ন আপনার মনে আসে । তাহলে আপনি বেকার জীবন পার করতেছেন কয়জন মানুষ
আপনাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে এই প্রশ্ন টাও নিজেকে করুন । আপনি বেকার বসে
থাকলে মানুষ আরো হাসবে পড়াশুনা করে বসে আছে ।
কিন্তু যখন আপনি শুরু করবেন হোক সেটা ছোট কাজ তারপরেও মানুষ বলবে যে যাক
ভিক্ষা করতেছে না সে কাজ করতেছে কাজ করে উপার্জন করতেছে এটা অনেক ভালো
সামর্থন । অতএব সর্বোপরি সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে আপনি শুরু করে দিন সেটা যতই
ছোট কাজ হোক আপনি শুরু করে দিন শুরু করলেই আপনি বুঝতে পারবেন কিন্তু যদি শুরু না
করেন তাহলে তো কিছুই বুঝতে পারবেন না আগে মাঠে নামতে হবে তারপর যুদ্ধ করতে
হবে
আপনি কি ভাবতে পারছেন যে এই সামান্য রিক্সা চালিয়ে আপনি প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১
হাজার টাকা করে যদি ইনকাম করে থাকেন তাহলে এক মাসে কত হবে ভেবে দেখছেন এক মাসে
ত্রিশ হাজার টাকা পাইতে গেলে কত বড় সরকারি চাকরি করতে হবে । চাকরি পেতে হলে কত
পড়াশোনা কত প্রতিযোগিতা তারপরে আপনি চাকরি করে ত্রিশ হাজার টাকা ইনকাম করতে
পারবেন । অতএব ভেবে দেখেন রিকশা চালানো ছোট কাজ হলেও ইনকাম কিন্তু বেশি
সুতরাং বলতে পারি আপনি এটা চেষ্টা করে দেখতে পারেন
আমি আরও দেখেছি এক বড় ভাই স্কুল রিক্সা চালাইতো এখন সে ওরকম ৩টি রিক্সার মালিক ।
প্রতি রিক্সা থেকে প্রতি দিন ৩০০ টাকা করে পায় তাহলে মাসে ৯ হাজার টাকা আয়
হয় । তাহলে ভাবুন একটা তে ৯ হাজার হলে ৩ টি রিক্সাতে ২৭ হাজার টাকা বসে বসে
ইনকাম করতেছে । তাহলে বুজতে পারছেন এটার ভবিষ্যৎ কেমন আপনি যেই কাজ টিকে ছোট মনে
করতেছেন সেই কাজ করে মানুষ আজকে ২৭ হাজার টাকা আয় ইনকাম করে সুন্দর ভাবে জীবন
চালিয়ে নিচ্ছে আমার ৩ জন মানুষকে কাজের ব্যাবস্থাও করে দিছে রিক্সার
মাধ্যম।
খাবার বিক্রি করে ৫০০ টাকা আয়
খাবার বিক্রি করে প্রতিদিনে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করুন । আপনারা যারা ছোট থেকে
একজন উদ্যোক্তা হতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এটি অনেক ভালো সুযোগ হবে । খাবার
এটার সাথে পৃথিবীর সবাই পরিচিত খাবার ছাড়া আমরা বাঁচতে পারব না দেশে থাকতে হলে
খাবার খাইতে হবে সকালে খাইতে হবে দুপুরে খাইতে হবে রাত্রে খাইতে হবে । আপনি
শুরুতে হালকা খাবার নিয়ে শুরু করতে পারেন এই খাবার বিক্রি করে আপনি আস্তে আস্তে
অনেক দূর পর্যন্ত পরিচিত লাভ করে আপনার ব্যবসাটাকে বাড়াতে পারেন
বাসায় বেকার বসে না থেকে খাবার বিক্রি করা কাজটি শুরু করে দিতে পারেন এখন কথা
হচ্ছে কি ধরনের খাবার বিক্রি করব এজন্য আপনাকে আগে দেখতে হবে ধরেন আপনি
কোথাও ঘুরতে গেলেন সেখানে যে আপনি কি খাবার পছন্দ করেন এগুলার তালিকা করুন
। অথবা আপনি কি বানাইতে পারেন পাসপোর্ট জাতীয় যে কোন কিছু হতে পারে
তবে যে খাবার গুলো মানুষের পছন্দ করে সেগুলোর মধ্যে যদি হয় তাহলে বেশি ভালো
হয়
এখন আপনি কি ধরনের খাবারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন সেগুলো নিয়ে কিছু আলোচনা করা
যাক আপনি ফুচকা বানিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন চটপটি বানিয়ে ব্যবসা শুরু করতে
পারেন বিভিন্ন পিঠা বানিয়ে শুরু করতে পারেন চা বিক্রি করেও আপনার ব্যবসা
শুরু করতে পারেন আমি অনেক জায়গাতে দেখেছি যারা হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে
এবং বলতেছে এই চা খান চা চা, আপনিও তাদের মত করে শুরু করতে পারেন কারণ মানুষ
খাবে মানুষ খেতে পছন্দ করে ।
আবার যখন এক জায়গা থেকে এক জায়গায় জার্নি করি বাসে তখন দেখি অনেকেই ঝাল মুড়ি
বিক্রি করে অনেকে পপকর্ন বিক্রি করে আয় করতেছে অনেকে শসা পেয়ারা আমড়া বিক্রি
করে ব্যবসা করতেছে অনেকে পানির বোতল বিক্রি করতেছে আপনি তো করতে পারেন ।
এগুলা আপনি কেন ঘরে বসে আছেন বলেন তো? মানুষ তো করতেছে এমন না যে মানুষ করতেছে না
মানুষ ঠিকই করতেছে এবং আয়ও করতেছে আপনি শুধু ঘরে বসে আছেন তাহলে হবে বের হতে হবে
শুরু করতে হবে ।
আপনি যদি রাস্তায় ঘুরে ঘুরে বিক্রি করতে না করতে পারেন বা পছন্দ না করেন তাহলে
আপনার জন্য আরও সুযোগ রয়েছে আপনি খেয়াল করলে দেখতে পারবেন যে ১০ থেকে ১৫ টা
টুপি নিয়ে বসে আছেন মানুষ কয়েক বোতল আতর নিয়ে বসে আছে পি ব্যবসা গুলো
খাবারের নয় আপনি চাইলে খাবার ছাড়া এ ধরনের বিভিন্ন ব্যবসা করতে পারেন খাবারের
ব্যবসা যদি পছন্দ না করেন তাহলে এ ধরনের ব্যবসা গুলো করতে পারেন । বসে থাকলে
কিছুই হবে না লেগে পড়তে হবে ।
শেষ কথাঃ দিনে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা আয়
দিনে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় এই পোস্টের শুরুতে আমি আপনাদের বলছিলাম যে আজকে
আমি এমন কিছু টিপস শেয়ার করব যেগুলো করলে আপনি প্রতিদিন টাকা পয়সা
আয় রোজগার করতে পারবেন । আপনি আমার পোস্টটি ভাল করে পড়লে একটি বিষয় ভাল
করে বুঝতে পারবেন সেটা হচ্ছে আমি বারবার বলেছি কাজ যেমনই হোক ছোট হোক বা বড়
হোক আপনি লেগে পড়েন এই কথাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ আপনার জীবনের জন্য আজকে আপনি বসে
আছেন বেকার
এটার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে আপনি শুরু করতেছেন না আশা করি আপনি আমার পোস্ট
থেকে উপকৃত হতে পেরেছেন। আমি চেয়েছি আপনারদের কিছু দিক নির্দেশনা দিতে । কারণ
অনেকে আছেন যারা কি করবেন খুঁজে পাচ্ছেন না । তাদের জন্য কিছু পরামর্শ মাত্র ।
আমার এই পোস্ট পড়ে যদি কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকি আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং
আপনাদের মূল্যবান মতামত জানাইতে ভুলবেন না ধন্যবাদ ।
আপডেট ধারার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url